জেলা পরিষদের জমি দখল করে আরএমপির সদর দপ্তর

রাজশাহী জেলা পরিষদের জমি দখল করে মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তর নির্মাণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত দল।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 08:00 AM
Updated : 18 Sept 2019, 08:07 AM

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার জানান, কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের ওই জমি মেপে দখলের সত্যতা পেয়েছেন।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের মোট ৫ দশমিক ৯৫ একর জমির মধ্যে পশ্চিম দিকের ১ দশমিক ৩৯ একর মহানগর পুলিশের কাছে বিক্রি করা হয়। ওই জমির পূর্ব অংশে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ভাড়া নিয়েই আরএমপি সদর দপ্তরের কার্যক্রম চলছিল।

পরে পুরো জমি দখলে নিয়ে নতুন সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ শুরু করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। এ কাজের জন্য জেলা পরিষদের পুরনো ডাকবাংলোটিও ভেঙে ফেলা হয়। দুই দপ্তরের টানাপড়েনে বিষয়টি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায়।

মীমাংসার চেষ্টায় গত ২২ অগাস্ট ঢাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সেখানে জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব শায়লা শারমিন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আজিজ হায়দার ভূঁইয়ার উপস্থিততে মঙ্গলবার জমি মেপে দেখা যায়, আরএমপি তাদের ভবন নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদের অনেকটা জমি দখল করে ফেলেছে। সেই জমিতে পাইলিংয়ের কাজও শেষ হয়েছে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, “এই জমিতে ভবন নির্মাণ না করার জন্য বার বার বারণ করা হলেও আরএমপি তাতে কর্ণপাত করেনি। এখন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বত কর্মকর্তা এবং কমিটির সদস্যরা বিষয়টি দেখলেন। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। তারা জমি ছাড়তে রাজি নয়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, “মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু আমি বাইরে থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।”

মন্ত্রণালয়ের গঠন করে দেওয়া কমিটির আহ্বায়ক বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান

বলেন, “জেলা পরিষদের জমির কিছু অংশ আরএমপির সদর দপ্তর নির্মাণের মধ্যে পড়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রাণ্লয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিন্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে।”