এই দাবিতে শনিবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শৈলকুপা থানার ওসি রজলুর রহমান জানান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাইকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বুধবার থানায় একটি মামলা হয়েছে।
“ওই মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।”
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকালে শহরের শিল্পকলা একাডেমীর সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন দলের জেলা বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক ধর, এম হাকিম, দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হুসাইন, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান, জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ওবাইদুর রহমান ঝন্টু, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালমা ইয়াসমিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রানা হামিদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা সংসদ সদস্য আব্দুল হাইকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি রজলুর রহমান বলেন, সম্প্রতি আব্দুল হাইকে হত্যার পরিকল্পনার অডিও ফাঁস হয়। এ ঘটনায় এমপি আব্দুল হাইয়ের ব্যক্তিগত সহকারী হাশিম রেজা বুধবার শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
“মামলার পর পুলিশ শৈলকুপা উপজেলার বেষ্টপুর গ্রামের সবুর ওরফে ধোলা এবং একই গ্রামের খবিরুলকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় একজন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।”