গাজীপুরে মিনিস্টার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে শত কোটি টাকার ক্ষতি: চেয়ারম্যান

গাজীপুরে মিনিস্টার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মালপত্র পুড়ে শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক খান দাবি করেছেন।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2019, 09:38 AM
Updated : 14 Sept 2019, 11:23 AM

শনিবার সকালে কারখানা ফটকের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

চেয়ারম্যান রাজ্জাক বলেন, “ভবনের ষষ্ঠ তলা ও ছাদে মজুদ বিপুল সংখ্যক এলইডি টেলিভিশন ও হোম অ্যামপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়ে গেছে। এতে ভবনেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

“সব মিলিয়ে শত কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।”

শুক্রবার গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় ছয়তলা ওই কারখানা ভবনের ছাদের বানানো গুদামে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুক্রবার দুপুরে কারখানা চত্বরে এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী গাদাগাদি করে রাখা হয়েছিল। মালামাল ভর্তি ওই গোডাউন সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

“মালামালগুলো এমনভাবে গাদাগাদি করে রাখা ছিল যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পক্ষে ভেতরে ঢোকা সম্ভব ছিল না।”

কারখানায় আগুন নেভানোর নিজস্ব পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা ছিল বলে তাদের চোখে পড়েনি বলে তিনি জানান।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, তিনিও ওই কারখানায় অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দেখেননি। পাশের মার্কওয়্যার লিমিটেডের জলাশয় ও পানি ব্যবহার করে তাদের কাজ চালাতে হয়েছে।

কারখানাটির ফায়ার লাইসেন্সও নবায়ন করা হয়নি। গত ৩০ জুন তাদের ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মামুন-অর-রশীদ।

তবে চেয়ারম্যান রাজ্জাক দাবি করেন, “কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তাসহ আগুন নেভানোর সব সরঞ্জাম ছিল। যেহেতু ষষ্ঠ তলায় সব মালামাল প্লাস্টিকজাতীয় ছিল এবং আগুন ব্যাপক আকার লাভ করায় তাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।”

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এখনও এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ বলতে পারেনি।

চেয়ারম্যান রাজ্জাক বলেন, “বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হযয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের একটি নিজস্ব তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

তিনি ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, কারখানাটির জন্য ১২৩ কোটি টাকার বিমা করা আছে। এ ব্যাপারে তিনি বিমা কোম্পানিরও সহযোগিতা কামনা করেন।

“সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হব।”

কারখানাটিতে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

কারখানার পরিচালক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফা খান, পরিচালক (অর্থ) মো. মুজিবুর রহমান, ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম স্বপনসহ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।