বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবখশ হলে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান বলেন, “অতিথি কক্ষে বসাবসি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে এই মারামারি হয়। এতে চারজন আহত হলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী লিমন হোসেন তার দুই বান্ধবীকে নিয়ে মাদারবখশ হলের অতিথি কক্ষে আসেন। সে সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী কামরুল ইসলাম তার এক বন্ধুকে নিয়ে বসে ছিলেন।
লিমন তার বান্ধবীদের বসার জায়গা করে দিতে বললে কামরুল তাকে মারধর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পরে হলের সামনে বাকির অনুসারী ও রুনুর অনুসারীদের মধ্যে মারামারি হয়।
মারামারি সম্পর্কে বাকি অভিযোগ করেছেন, তার অনুসারীদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার করা হচ্ছে।
“আড়াই বছর ধরে আমাদের কোনো পদ দেয়নি। বরং আমার কর্মীদের মারধর করেছে। তারা হলে থেকে যে ঠিকমতো পড়ালেখা চালিয়ে যাবে সে অবস্থাও নেই।”
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগকর্মী সুব্রত মারামারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে তার অভিযোগ।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা রুনু।
তিনি বলেন, “আমরা মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এখানে কোনো দল বা পক্ষের কাউকে মারধর করা হয়নি।”
তবে পরে তিনি বলেন, “আমরা বসেছিলাম। পরিস্থিতি এখন শান্ত।”
ঘটনার সময় মাদারবখস হলের প্রাধ্যক্ষ মো.আব্দুল আলীম মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি রাজশাহীর বাইরে রয়েছেন। তবে তিনি প্রক্টর ও হলের অন্যদের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে বলেছেন।
তিনি ঢাকা থেকে ফিরে তদন্ত করে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।