টেকনাফে ফারুক হত্যার আরও দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার আসামি দুই রোহিঙ্গা যুবক পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2019, 04:28 AM
Updated : 13 Sept 2019, 04:29 AM

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য।

নিহতরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জমির আহম্মদের ছেলে আব্দুল করিম (২৪) এবং একই ক্যাম্পের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহম্মদ (২৭)।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার মংডু থানার বুচিদং হাসুরতা ও বুচিদং পুইমালী এলাকায় তাদের বাড়ি।

ওসি প্রদীপ দাশ বলেন, ওমর ফারুক হত্যা মামলার একাধিক পলাতক আসামি জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল রাতে সেখানে অভিযানে যায়।

“পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছানোমাত্র সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”

ওই দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

গত ২৩ অগাস্ট রাতে হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ফারুককে জাদিমুরা এলাকায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই হত্যাকাণ্ড সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা অপরাধী চক্র ঘটিয়েছিল।

ওই বলেন, ফারুক হত্যা মামলার এজাহরভুক্ত আসামি ছিলেন করিম ও নেছার। এছাড়া হত্যা, ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে থানায়।

ফারুক হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন নূর মোহাম্মদসহ চার আসামি এর আগে একইভাবে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

বৃহস্পতিবার রাতের অভিযনে টেকনাফ থানার এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ নাবিল ও রবিউল ইসলাম সামান্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক ও সাতটি গুলি উদ্ধার করার তথ্য দিয়েছে পুলিশ।