মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন, মঙ্গলাচরণ, গুরুবন্দনাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় আচারের মধ্য দিয়ে বুধবার বেলা ১১টায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকালে।
এটা এ আশ্রমের ৪৯৫তম উৎসব বলে জানান আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ফণীভূষণ পাল।
তিনি বলেন, “জাতিভেদ, কুসংস্কার, অনাচারসহ নানা রকম নির্যাতনে মানুষ যখন অতীষ্ঠ হয়েছিল, সে সময় হরিদাস ঠাকুর সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার কেড়াগাছি গ্রামে জন্ম নেন। তিনি পদ রচনা করে, প্রচার চালিয়ে, জনসচেতনতা সৃষ্টি করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। সমস্যা থেকে মুক্তি বা নির্বাণ লাভের আশায় মানুষের অন্তরে মুক্তির আলো জ্বালার চেষ্টা করেন তিনি।”
তার স্মৃতিবিজড়িত এলাকায় ভক্তরা পাটবাড়ী আশ্রম গড়ে তোলেন বলে ফণীভূষণ জানান।
উৎসবে থাকে হরিদাস ঠাকুরের জীবনী আলোচনা, ভাগবত আলোচনা, কীর্তন, ভক্তিগীতি ও পদাবলি কীর্তন প্রভৃতি।
ফণীভূষণ বলেন, উৎসবটি ভক্ত-অনুরাগীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বাংলাদেশের অন্যতম হিন্দু তীর্থস্থান পাঠবাড়ি আশ্রম। দেশ-বিদেশ থেকে আসা হাজারো ভক্তের আগমনে মুখরিত হয় প্রতি বছর।
আশ্রমের প্রচার সম্পাদক আনন্দ দেবনাথ বলেন, এখানে একটি জাদুঘর ও মাটির নিচে রয়েছে গিরিগোবর্ধন মন্দির। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ-বিদেশ থেকে শত শত দর্শনার্থী দেখতে আসেন।
“এখানে হিন্দু-মুসলমান কোনো ভেদাভেদ থাকে না। সব ধর্মের মানুষের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি মুখরিত হয়ে ওঠে।”
বেনাপোল বন্দর থানার এসআই পিন্টু লাল দাস বলেন, উৎসবে আগত ভক্তদের নিরাপত্তায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন করছেন হিন্দু ধর্মালম্বী লোকজন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।