জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

জয়পুরহাট সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অধ্যক্ষ দেলোয়ার উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2019, 01:05 PM
Updated : 12 Sept 2019, 01:19 PM

তবে অধ্যক্ষ দেলোয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রশিক্ষক জিএস সুলতান আল-আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেলোয়ার উদ্দিন আহম্মেদ প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তির ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে নিয়ে পকেটে রেখেছেন।

“তিনি নিজের ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করায় আমাকে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দেওয়া ছাড়াও বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ব্যাপারে আমি জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টা জেনেছেন। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক মো. নুরুল ইসলামও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

সদর উপজেলার হিচমি পশ্চিমপাড়ার আরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তারা ড্রাংভিংকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে তিনবার করে পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু অনিয়মের কারণে তারা ভর্তির সুযোগ পাননি।

অনিয়ম সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভর্তির মৌখিক পরীক্ষায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের বিধান থাকলেও তা না করে অধ্যক্ষ তার পছন্দমত লোকজনকে দিয়ে পরীক্ষা নেন। এছাড়া অধ্যক্ষ মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে পুরো সময়টা থাকেন না। তিনি একবার এসেই চলে যান।”

আব্দুল মোমিন, আল-আমিনসহ একাধিক তরুণ এমন অভিযোগ করেছেন।

প্রশিক্ষণার্থী আব্দুর রাহিম বলেন, “আমাদের শুধু ক্যাম্পাসের ২০০ গজ জায়গায় স্টিয়ারিং ধরা শেখানো হয়। বাইরে নিয়ে ড্রাইভিং শেখানোর কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা করে না। ফলে গাড়ি চালানোর দক্ষতা অর্জিত হয় না।”

শাহ জলিল, রাসেলসহ আরও কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীও একই অভিযোগ করেছেন।

একাধিক নারী প্রশিক্ষণার্থী অভিযোগ করেছেন, খাবারের জন্য সরকারিভাবে প্রতি প্রশিক্ষণার্থীর জন্য তিন হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদের শুধু ক্যাম্পাসের নিজস্ব পেঁপে ও কলার তরকারি দিয়ে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়।

অধ্যক্ষের শ্যালক ও স্ত্রী এই খাবার সরবরাহ করেন বলে তাদের অভিযোগ।

প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কয়েকজন কর্মচারী অভিযোগ করেছেন, অধ্যক্ষ দেলোয়ার তাদের ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেন।

এমনকি তাদের বেতনের টাকা থেকেও অধ্যক্ষকে সন্তুষ্ট করতে হয় বলে তাদের অভিযোগ।

অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষ তার শ্যালক ওয়াসিম মিয়াকে মোটর ড্রাইভিংয়ের প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলেও প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেছেন।