অচিরেই পার্বত্য ভূমি বিরোধের ‘মিটমাট’

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি নিয়ে বিরোধের মীমাংসার কাজ দ্রুতই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভায় অংশগ্রহণকারীরা।

ফজলে এলাহী রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2019, 10:59 AM
Updated : 12 Sept 2019, 10:59 AM

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি সার্কিট হাউজের হলরুমে এই কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আনোয়ার উল হকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে এই কমিশনে তিন পার্বত্য জেলা থেকে তিন হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়েছে-এর মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ির ২ হাজার ৮৩৯টি, রাঙামাটির জেলায় ৭৬৯টি, বান্দরবানের ৩২৫টি আবেদন।

ভূমি কমিশনের বিরোধপূর্ণ ভূমির দরখাস্ত আহ্বান প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার উল হক।

তিনি বলেন, “জনবলের জন্য আমরা অপেক্ষা করব না, আমাদের কাজ চলমান থাকবে।”

বৈঠকে অংশ নেওয়া চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে যেসব প্রস্তাব সরকারের কাছে গেছে এবং আরও যেগুলো যাবে, সেগুলোকে যথাযথ মূল্যায়ন করে এবং অন্তর্ভূক্ত করেই সরকার যেন ভূমি কমিশনের বিধিমালা চূড়ান্ত করে।”

তিনি বলেন, “সরকার ২০০৮ সালে যে আইন করেছে, ২০১৬ সালে যা আবারও সংশোধন হয়েছে, তা যথাযথভাবে হয়েছে। সরকার এখন যত দ্রুত বিধিমালা প্রণয়ন করবে কাজ তত দ্রুত শুরু করা যাবে।”

জনসংহতি সমিতির দাবির মুখে ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে আইন সংশোধন করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হককে কমিশন চেয়ারম্যান করে সরকার।

‘শীঘ্রই বিধিমালা হয়ে যাবে’ এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করে বোমাং সার্কেল চীফ উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, “৫/৬ মাসের মধ্যেই সবকিছু হয়ে যাবে এবং আমরা কাজ শুরু করে দিতে পারব। শুরু করলেই শেষ হতে আর বেশি দেরি হবে না।”

তিন ঘণ্টাব্যাপী এই সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা।

এছাড়া কমিটির অন্যান্য সদস্যের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সচিব আলী সনসুর।