জেলার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি এই সিদ্ধান্তের কারণ বলেননি। তবে এর আগে ওসিকে নোটিশ দিয়ে ওই নারীকে থানায় বিয়ে দেওয়ার কারণ দর্শাতে বলেছিল পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া এ ঘটনায় মামলার আরও দুই আসামিকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন আলী ও মো. সঞ্জু।
এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট চারজন গ্রেপ্তার হল। আগে গ্রেপ্তার হয়েছন সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ঘন্টু (৩৮) ও প্রধান আসামি রাসেল।
তিন সন্তানের জননী ওই নারীর অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ গত ২৯ অগাস্ট তাকে তার বাড়িতে নিয়ে এক সহযোগীসহ পালা করে ধর্ষণ করে। দুদিন পর তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিন দিন আটকে রাখা হয় এবং সেখানে আরও চার-পাঁচনজন তাকে পালা করে ধর্ষণ করে।
পরে ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে পাবনা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ রাসেলকে আটক করে। কিন্তু মামলা নথিভুক্ত না করে পুলিশ ওই রাতেই রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ওসি ওবাইদুল হককে কারণ দর্শাতে বলে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরে থানায় মামলা নেওয়া হয়। ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে পুলিশ।