পঞ্চগড়ে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ ও শিক্ষক কারাগারে

পঞ্চগড়ে এক শিশু ও এক কিশোরীকে ধর্ষণের পৃথক দুই ঘটনায় এক বৃদ্ধ ও এক গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 10:59 AM
Updated : 11 Sept 2019, 11:07 AM

বুধবার আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন পঞ্চগড় শহরের পশ্চিম মোলানি এলাকার আশরাফ আলী (৫৮) ও পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র জগদীশ চন্দ্র রায়কে (৩০)।

সাত বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ

ওসি আক্কাস জানান, আশরাফ ধর্ষণের শিকার সাত বছর বয়সী শিশুটির সম্পর্কে দাদা হয়। প্রতিবেশী হওয়ায় শিশুটি আশরাফের বাড়িতে যাতায়াত করত।

“মঙ্গলবার দুপুরে আশরাফ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং আশরাফকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।”

এ ঘটনায় রাতে শিশুটির বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আশরাফকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

কিশোরীকে ধর্ষণ

ওসি জানান, শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার দশম শ্রেণির এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার গৃহশিক্ষক জগদীশকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েচে।

গত ৫ বছর ধরে ওই ছাত্রীকে জগদীশ গৃহশিক্ষক হিসেবে পড়াত উল্লেখ করে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত তখন থেকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে জগদীশ তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

“সম্প্রতি মেয়েটি জগদীশকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়তে অস্বীকৃতি জানালে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে জগদীশ। ”

বিষয়টি মেয়েটি তার পরিবারকে জানালে গত ৯ সেপ্টেম্বর জগদ্বীশকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে দেয় বলে জানান ওসি।

ওই শিশু ও কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।