বুধবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়নের মির্জাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হৃদয় ওরফে গিট্টু হৃদয় (৩০) সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিববুর এলাকার মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, গুলি, বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে উল্লেখ করে র্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, নিহত হৃদয় ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী’, তার বিরুদ্ধে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, জহিরুল ইসলাম ওরফে ডলার, সেলিম মিয়া ও গাড়ির চালক কামাল হোসেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জসিম উদ্দিন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপচেলার চেঙ্গারকান্দি এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান যাচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৪টার দিকে র্যাব-১১ এর একটি দল সেখানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালায়।
“একটি প্রাইভেটকারকে থামানোর সিগন্যাল দিলে সিগন্যাল অমান্য করে চালিয়ে যেতে চায় তারা। এসময় র্যাব চ্যালেঞ্জ করলে প্রাইভেটকার থেকে নেমে একজন র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।”
আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ‘দুই পক্ষের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ হয়।’
পরে ঘটনাস্থলে একজনকে আহতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে র্যাব। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
নিহত হৃদয়ের হাত থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ ম্যাগজিন উদ্ধার এবং
প্রাইভেকটার থেকে তার সহযোগী জহিরুল, সেলিম ও গাড়ির চালক কামালকে আটক করা হয় বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গাড়ি থেকে ‘৫০০টি ইয়াবা বড়ি, ৬টি দা, দুইটি চাপাতি’ উদ্ধার করা হয়।
পরে লাশটি মাদক বিক্রেতা হৃদয়ের বলে শনাক্ত করে এলাকাবাসী।
এই ঘটনায় ‘আহত র্যাবের সৈনিক সৌরভ রায় ও কনস্টেবল ওবায়দুলকে’ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।