র্যাব ১৩-এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, মঙ্গলবার ভোরে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন রংপুর-বদরগঞ্জ সড়ক ও রংপুর শহরের সাহেবগঞ্জ মাছহাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন শহরের কেরানীপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে মামলার প্রধান আসামি মোজাফফর হোসেন (২২) ও একই এলাকার জুয়েল আহমেদের ছেলে মামলার ৩ নম্বর আসামি রিশাদ আহম্মেদ জয় (২০)।
এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের সুগার মিল এলাকা থেকে মামলার ২ নম্বর আসামি মন্টি হোসেনকে (১৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ২৯ অগাস্ট সন্ধ্যার পর শহরের রশীদ টেক্সটাইল মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোজাফফর ও তার সহযোগীরা রশীদ নামে এক স্কুলছাত্রকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে চলন্ত একটি বাসের নিচে ফেলে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় তিনজনের আম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে নিহত রশীদের বাবা শহিদার রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
নিহত রশীদের বড় ভাই মোহনের (৩০) কাছে মোজাফফর চাঁদা চেয়ে না পেয়ে রশীদকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা ফেরদৌস সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, “গ্রেপ্তারের পর মোজাফফরের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তুল ও দুটি গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব।”
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত ২৯ অগাস্ট আলামিন সরদার বাবু (২৫) নামে আরও একজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করে বলে তিনি জানান।