সোমবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্রাহ্মণাবড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান।
নিহত সবুর (২০) আশুগঞ্জ উপজেলার চারচারতলা গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।
গত ৫ জুন সকালে আশুগঞ্জের চরচারতলা গ্রামের সারকারখানা সড়কে একটি ট্রাক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটায় নিহতের মা হনুফা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এসপি আনিসুর রহমান বলেন, মামলাটি প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই শ্রীবাস চন্দ্র দাস তদন্ত করেন। পরবর্তীতে আসামি গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই মো. সোহেল কামালের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসপি আরও জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পঞ্চবটি এলাকা থেকে আসামি মো. সুজনকে এবং ৭ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর বেলাবো থানার নারায়ণপুর গ্রাম থেকে আসামি মো. রমজানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
“আসামিরা হত্যকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।”
এসপি বলেন, জবানবন্দিতে তারা জানায়- নিহত সবুর প্রায়ই বাজিতে মোবাইল ফোনে লুডু খেলত সুজন ও রমজানের সঙ্গে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মেহেদী হাসান, সহাকারী পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আলাউদ্দিন চৌধুরী ও ডিআইও-১ (বিশেষ শাখা) ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।