লুডু খেলার টাকার বিবাদে খুন

ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় মোবাইলে লুডু খেলার টাকা আদায় নিয়ে বিবাদে এক ট্রাক চালকের সহযোগী প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2019, 05:24 PM
Updated : 9 Sept 2019, 05:24 PM

সোমবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্রাহ্মণাবড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান।

নিহত সবুর (২০) আশুগঞ্জ উপজেলার চারচারতলা গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।

গত ৫ জুন সকালে আশুগঞ্জের চরচারতলা গ্রামের সারকারখানা সড়কে একটি ট্রাক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটায় নিহতের মা হনুফা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এসপি আনিসুর রহমান বলেন, মামলাটি প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই শ্রীবাস চন্দ্র দাস তদন্ত করেন। পরবর্তীতে আসামি গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই মো. সোহেল কামালের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রমজান

“ক্লুহীন এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধানের জানা যায়, চরচারতলা গ্রামের নিলু মিয়ার ছেলে মো. সুজন (২৮) এবং একই গ্রামের মো. মান্নানের ছেলে মো. রমজান (২০) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।”

এসপি আরও জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পঞ্চবটি এলাকা থেকে আসামি মো. সুজনকে এবং ৭ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর বেলাবো থানার নারায়ণপুর গ্রাম থেকে আসামি মো. রমজানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

“আসামিরা হত্যকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।”

এসপি বলেন, জবানবন্দিতে তারা জানায়- নিহত সবুর প্রায়ই বাজিতে মোবাইল ফোনে লুডু খেলত সুজন ও রমজানের সঙ্গে।

সুজন

গত ৪ জুন রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে রমজান ও সুজনের সাথে ট্রাকে বাজিতে লুডু খেলেতে বসেন। রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার দিকে লুডু খেলায় সবুরের কাছে হেরে যায় সুজন ও রমজান। পরে সুজন ও রমজান খরচের জন্য সবুরের কাছে কিছু টাকা চায়। কিন্তু সবুর টাকা না দিলে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সবুরকে ট্রাকের ভেতরে থাকা রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মেহেদী হাসান, সহাকারী পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আলাউদ্দিন চৌধুরী ও ডিআইও-১ (বিশেষ শাখা) ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।