সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার সাতপাড় ভূমি অফিস সংলগ্ন পুকুর থেকে নিহত অটোরিকশা চালক সোহান সিকদারের (১৬) লাশ উদ্ধার করা হয়।
রোবরাব রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। সোহান সিকদার একই গ্রামের গোলাম সিকদারের ছেলে।
গ্রেপ্তার শাওন ফরাজী (২৫) সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিলখী গ্রামের আলাল ফরাজীর ছেলে।
ওই অটোরিকশার ব্যাটারির জন্য চালক সোহান সিকদারকে হত্যা করেছে বলে শাওন পুলিশকে জানিয়েছে।
সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মীর সাজেদুর রহমান বলেন, রোববার রাতে শাওন শ্বশুরাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সোহানের ইজিবাইকটি ভাড়া করেন। রাতে সোহান বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি।
সাজেদুর বলেন, সোমবার সকালে স্থানীয়রা সদর উপজেলার করপাড়ায় মধুমতি নদীর বিলরুট ক্যানেলের খাদে ফেলে দেওয়া ইজিবাইক দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সোহানের ইজিবাইকটি উদ্ধার করে।
“ইজিবাইক উদ্ধার হওয়ার পর নিহতের স্বজনরা শাওনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে সে সোহনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করে।”
শাওন বর্তমানে গোপালগঞ্জের বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে বলে জানান সাজেদুর।
তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি সাতপাড় ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে বলেও তিনি জানান।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যাকারী শাওনও ইজিবাইক চলাক। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সে ওই ইজিবাইক চালক সোহানের গাড়ি ভাড়া করে।
“পরে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ইজিবাইক থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে গোপালগঞ্জে শহরে গেটপাড়ায় নিয়ে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে।”
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।