এই ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার ডেমার উপজেলায় চারটি সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।
মারধরের শিকার সোলায়মান আলী ডোমার সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংষ্কৃতি বিভাগের শিক্ষক।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কলেজ চারটি হলো ডোমার সরকারি কলেজ, নীলফামারী সরকারি কলেজ, নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ ও চিলাহাটি সরকারী কলেজ।
এ ঘটনায় পুলিশ এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডোমার সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল করিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, নীলফামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক আনিছুর রহমান, ডোমার সরকারি কলেজের শিক্ষক রেজাউল ইসলাম, চিলাহাটি সরকারি কলেজের শিক্ষক কানু চন্দ্র রায় প্রমুখ।
বক্তাদের অভিযোগ, গত শনিবার ডোমার সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র শান্ত ইসলাম একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে শফিকুল্লাকে মারধরসহ তাকে কলেজে না আসার জন্য হুমকি দেন। বিষয়টি জানার পর ওই কলেজের শিক্ষক সোলায়মান আলী হুমকি দেওয়ার কারণ জানতে চান শান্ত ইসলামের কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত ইসলাম ও তার সহযোগীরা ওই শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন।
বক্তারা শান্ত ইসলাম ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এদিকে কলেজছাত্র শান্ত ইসলাম বলেন, “কয়েকজন শিক্ষার্থী স্যারকে মারধর ও লাঞ্ছিত করছিল। আমি গিয়ে তাদের প্রতিরোধ করেছি এবং স্যারকে রক্ষা করেছি।”
এ বিষয়ে ডোমার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় বলেন, মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক মো. সোলায়মান আলী বাদী হয়ে ছাত্র শান্ত ইসলাম ও ফিরোজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৭ থেকে ১৮ জন ছাত্রকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রোববার সকালে নাজিমুল ইসলাম নামে এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।