একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক মংছেনচিং আর নেই

একুশে পদকপ্রাপ্ত গবেষক ও সাহিত্যিক মংছেনচিং মংছিন আর নেই।

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2019, 12:26 PM
Updated : 7 Sept 2019, 12:35 PM

শনিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটির তবলছড়ির মাঝেরবস্তিতে মেয়ের বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার স্ত্রী শোভা ত্রিপুরা জানান।

তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। 

রোববার বিকালে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন শোভা।

১৯৬১ সালের ১৬ জুলাই কক্সবাজার শহরের চালহাট্টায় রাখাইন পরিবারে জন্ম নেন মংছেনচিং মংছিন। ১৯৮৪ সালে শিক্ষক ও লেখক শোভা রানী ত্রিপুরাকে বিয়ে করেন। সেই সূত্রে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতেই বসবাস করতেন তিনি।

পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা, ভাষা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৬ সালে তিনি একুশে পদক পেয়েছিলেন। পার্বত্যাঞ্চলের একমাত্র একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

রাখাইন, ত্রিপুরা ও মারমাসহ পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর আদি ভাষা, জীবনাচরণ ও উৎসের খোঁজেই ব্যস্ত থাকতেন এই নিভৃতচারী লেখক-গবেষক। প্রায় ৩৭ বছরের লেখালেখি জীবনে তার ২০টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

মংছেনচীং পাহাড়ের দৈনিক গিরিদর্পন ও অরণ্যবার্তায় নিয়মিত লিখতেন।

শিক্ষক শোভা রানী ত্রিপুরাও সাহিত্যিক। সাহিতে্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি রোকেয়া পদকে ভূষিত হন। তিনি খাগড়াছড়ির চোংড়াছড়িমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।

মংছেনছিং এর মৃত্যুতে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও অরণ্যবার্তা সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।