শনিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটির তবলছড়ির মাঝেরবস্তিতে মেয়ের বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার স্ত্রী শোভা ত্রিপুরা জানান।
তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
রোববার বিকালে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন শোভা।
১৯৬১ সালের ১৬ জুলাই কক্সবাজার শহরের চালহাট্টায় রাখাইন পরিবারে জন্ম নেন মংছেনচিং মংছিন। ১৯৮৪ সালে শিক্ষক ও লেখক শোভা রানী ত্রিপুরাকে বিয়ে করেন। সেই সূত্রে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতেই বসবাস করতেন তিনি।
রাখাইন, ত্রিপুরা ও মারমাসহ পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর আদি ভাষা, জীবনাচরণ ও উৎসের খোঁজেই ব্যস্ত থাকতেন এই নিভৃতচারী লেখক-গবেষক। প্রায় ৩৭ বছরের লেখালেখি জীবনে তার ২০টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মংছেনচীং পাহাড়ের দৈনিক গিরিদর্পন ও অরণ্যবার্তায় নিয়মিত লিখতেন।
মংছেনছিং এর মৃত্যুতে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও অরণ্যবার্তা সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।