শনিবার বিদ্যালয়ের গিয়ে কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানমকেও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের ব্যাপস্থাপনা কমিটির সভাপতি সেলিম শেখ অভিযোগ করেন, “প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানম কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত মেনে চলেন না। তিনি শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
“তিনি কাউকে ভয় করেন না। নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসেন-যান। এর কারণ হচ্ছে তার স্বামী নাজিরপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা।“
বিদ্যালয়ের সামনে উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানম বিদ্যালয়টিকে নিজের ইচ্ছামতো চালিয়ে লেখাপড়ার মান খারাপ করে দিচ্ছেন। তিনি নিয়মিত উপস্থিত হন না। এ বিষয়ে অভিভাবকরা জানতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সামেনই অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষার্থীর মারধর করেন এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন।
এসব কারণে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে তারা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরবিন্দু সমদ্দার বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন বিদ্যালয়ে আসেনি তা তারা জানেন না।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, “প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানম শনিবার ছুটিতে আছেন। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”