শুক্রবার যশোরের নারী নেত্রী ও সাংবাদিকরা শার্শা উপজেলার শ্যামনগর গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে গেলে তিনি বলেন, “খায়রুলরে আমি শুধু চিনিনে, খুব ভাল করে চিনি। আমার স্বামীরে বিনা কারণে ধরে নিয়ে গেছে।
“আমার কাছ থেকে আট হাজার টাকা, চার হাজার, পাঁচ হাজার টাকা করে নিতিই থাকে। উনি পুলিশ, উনার সাথে আমি পারব না। তাই তার কথা আমি অস্বীকার করেছি।”
মাদকের মামলায় আটক স্বামীকে জামিন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ওই নারীর কাছে টাকা দাবি এবং তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শার্শা থানার এসআই খায়রুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু খায়রুলকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে নিলেও তাকে মামলায় আসামি করা হয়নি।
এ বিষয়ে ওসি মশিউর রহমানের ভাষ্য, এসআই খায়রুলকে থানায় ওই নারীর মুখোমুখি করা হলেও তিনি তাকে শনাক্ত করতে পারেননি। একারণে তার নাম মামলায় রাখা হয়নি।
অন্য তিনজন কামরুল, লতিফ ও কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার অভিযোগ, তার স্বামীর জামিনের প্রস্তাব দিয়ে বিনিময়ে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন খায়রুল। তিনি রাজি না হলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে খায়রুল ও কামারুল তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার গ্রামের লতিফ ও কাদের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
কিন্তু মামলা করার সময় ভয়ে তিনি খায়রুলের নাম বলেননি বলে তার দাবি।
বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগমসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী শুক্রবার ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ সময় নিপুণ রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “ওই নারী সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। নিজেই হাসপাতালে গিয়েছেন, নিজেই মামলা করেছেন। কিন্তু তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসআই খায়রুলের নাম মামলার এজাহারে লেখা হয়নি।
“এসআই খায়রুলকে এজাহারে ১ নম্বর আসামি করে তাকে গ্রেপ্তার করা হোক। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা এ মামলার দ্রুত বিচার চাই।”