পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট: গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

শ্রেণিকক্ষের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ফেইসবুকে ‘লেখালেখি’ এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করার অভিযোগে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2019, 10:49 AM
Updated : 6 Sept 2019, 10:49 AM

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের হাবিবুল্লাহ নিয়ন, মো. রাশেদ হাসান, মুনিম ইসলাম হিরা, ঝিলাম হালদার, ফাহমিদ বৃষ্টি ও দেবব্রত রায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক নূরউদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষরে বহিষ্কার আদেশের চিঠি বুধবার ওই শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় পাঠানো হয়।

সেখানে বলা হয়, হাবিবুল্লাহ নিয়ন তাদের বিভাগের ১০৩ নম্বর ক্লাসরুমের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ফেইসবুকে লিখেছিলেন। তাদের ‘লেখালেখির’ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি যাতে ‘নষ্ট’ না হয়, সেজন্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বি কে বালা তাদের সতর্ক করেছিলেন।

“তা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ফেইসবুকে আরেকটি পোস্ট দেয়। এই প্রেক্ষিতে নিয়ন ও তার কতিপয় সহযোগী কিছু অপ্রীতিকর মন্তব্য লিখে যায়, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে নিয়েও আপত্তিজনক মন্তব্য করেছে, যা শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং গর্হিত কাজ।”

ওই ঘটনা তদন্তের জন্য বিভাগীয় অ্যাকাডেমিক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বলে জানানো হয় চিঠিতে।

ছয়জনের মধ্যে হাবিবুল্লা নিয়নকে এক বছর (২ সেমিস্টার) এবং বাকি পাঁচজনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়েছে সেখানে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি। ফেইসবুকে তারা কী লিখেছিল জানতে চাইলে ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান বি কে বালা এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এ ঘটনায় গঠিত বিভাগীয় অ্যাকাডেমিক কমিটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।”

তারপরও শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে তাদের তা পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।