বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
গত ২৫ অগাস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীর তীরে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করেছিল বিজিবি।
এরা হলেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর নাগকুড়া ব্যাটালিয়ানের মেগচিং ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন লি উইন কো ম্যায়েং (৩০), সার্জেন্ট ইয়ানাং তুন (৩১), সার্জেন্ট প্যায়াং গি (২৫) ও সিপাহী ক্য ক্য (২৮)।
তবে তাদের আটকের পর ওই সময় পরিচয় হিসেবে শুধু মিয়ানমারের নাগরিক বলা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু পয়েন্ট দিয়ে বিজিপির এসব সদস্যকে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি জানান, গত ২৫ অগাস্ট রাতে টেকনাফের নাজিরপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীর তীর সীমান্ত থেকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় বিজিবির সদস্যরা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপির এ চার সদস্যকে আটক করেন।
“এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এমএ-১১ রাইফেল, ১০টি গুলি, একটি টর্চ লাইট এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বিজিপি সদস্যদের বহনকারী একটি স্পিডবোটও জব্দ করা হয়।”
আলী হায়দার আরও বলেন, বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করা হয়। পরে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার পর বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তাদের মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।”