মুক্ত হলেন মিন্নি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি গ্রেপ্তারের ৫০ দিন পর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2019, 11:06 AM
Updated : 3 Sept 2019, 12:14 PM

মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশের কপি মঙ্গলবার বরগুনায় আসার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিন্নিকে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এ সময় তার মা-বাবাসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার সময় তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী মিন্নির মরিয়া চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফের করা মামলায় মিন্নি ছিলেন প্রধান সাক্ষী।

পঞ্চাশ দিন কারাবাসের পর মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেলেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। স্বামী রিফাত শরীফ খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনি; কিন্তু ‍তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করে তাকেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পর ১৬ জুলাই মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, রিফাত হত্যা পরিকল্পনায় তার স্ত্রীও জড়িত ছিলেন।

বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এবং জেলা ও দয়েরা জজ আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ায় হাই কোর্টে যান তার আইনজীবীরা।  হাই কোর্ট জামিন আবেদন মঞ্জুর করলেও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। পরে আপিল বিভাগও জামিন আবেদন বহাল রাখে।

আইনজীবী মাহবুবুল বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ কপি মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পৌঁছায়। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম এম জাহিদ হাসান কপি গ্রহণ করে মিন্নিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন।

পঞ্চাশ দিন কারাবাসের পর মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেলেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। স্বামী রিফাত শরীফ খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনি; কিন্তু ‍তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করে তাকেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

আদেশের কপি নিয়ে গেলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিন্নিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় মিন্নির আত্মীয়-স্বজন কারা ফটকে উপস্থিত ছিলেন।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বিচারেও আমরা ন্যায় বিচার পাব। মুন্নি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না। আমার মেয়ে ষড়ন্ত্রের স্বীকার হয়েছে।”