‘ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ’, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ২

নরসিংদীতে ‘বিয়ের আশ্বাসে ডেকে নিয়ে’ এক গার্মেন্টসকর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2019, 03:59 PM
Updated : 2 Sept 2019, 03:59 PM

রোববার রাত ১২টার দিকে রায়পুরা উপজেলার গৌরীপুরা তালুককান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন ওই নারীর কথিত প্রেমিক রায়পুরার বেগমাবাদ হুগলাকান্দি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (২০) ও তার সহযোগী একই উপজেলার ঘাগটিয়া আলগী এলাকার হুছন উদ্দিনের ছেলে শামীম মিয়া (১৯)।

এ ঘটনায় অপর সন্দেহভাজন ব্যক্তি একই উপজেলার বেগমাবাদ পল্টনের দুলাল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ওই নারীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। তিনি গাজীপুরে থেকে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের চাকরি করেন।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে রায়পুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মোজাফফর হোসেন বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা ও এক সন্তানের জননী এই গার্মেন্টসকর্মীর (২১) সঙ্গে দেড় বছর আগে ফোনে রায়পুরার শিপন মিয়ার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে শিপন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফোন করে রায়পুরা আসতে বলেন।

অভিযোগে মেয়েটি বলেন, শিপনের কথামতো তিনি রোববার রাতে গাজীপুরের বোর্ড বাজার থেকে রায়পুরা আসেন। রায়পুরার নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ডে নামার পর শিপন তার দুই সহযোগী শামীম ও রুবেলসহ তাকে রিসিভ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, পরে তারা একটি সিএনজি অটোরিকশায় তালুককান্দি গ্রামের সূর্যের মোড় এলাকায় একটি গ্যারেজে যান এবং মেয়েটিকে সেখানে বসিয়ে রাখেন তারা। সেখানে বসানোর কারণ জানতে চাইলে তারা ওই নারীকে জানায় রাতের খাবার খেয়ে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরে তারা ওই নারীকে ভেতরে রেখে বাইরে থেকে গ্যারেজটি তালাবন্ধ করে বেরিয়ে যান।

“৫/৭ মিনিট পর কথিত প্রেমিক শিপন পুণরায় ভেতরে ঢুকে মেঝেতে একটি পাটি পাতেন। এ সময় ওই নারী কথা বলতে চাইলে তাকে থাপ্পড় মারেন শিপন। পরে শিপনসহ তার দুই বন্ধু তাকে ধর্ষণ করেন।”

পরিদর্শক মোজাফফর বলেন, রাতের এক পর্যায়ে মেয়েটি গ্যারেজ থেকে পালিয়ে আসেন। পরে গ্রামের পাহারায় নিয়োজিত স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে রাতেই থানায় ঘটনা জানানো হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

মোজাফফর জানান, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে, তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর এক আসামী পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।