রোববার বিকালে পাঁচবিবি উপজেলার উচনা মাদ্রাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জহুরুল ইসলাম পাঁচবিবি উপজেলার মহিপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জহুরুল ধরঞ্জি ইউনিয়নের উচনা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধরঞ্জি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, রোববার বিকালে উচনা মাদ্রাসা মাঠে জহুরুল তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিলেন।
“এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম মাইক্রোবাস যোগে সেখানে পৌঁছে জহুরুলকে ওই মাইক্রোবাসে জোর করে তুলে কিছুদূর নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন।
“এক পর্যায়ে তিনি হেলমেট দিয়ে জহুরুলের চোয়ালে ও মুখে আঘাত করতে থাকেন। এতে জহুরুলের নিচের পাটির বেশ কয়েকটি দাঁত ভেঙে গেছে।”
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য এসআই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মুমিনুল হক বলেন, “এ ব্যাপারে কোনো পক্ষের অভিযোগ না থাকায় মন্তব্য করতে পারছি না।”
তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে পরিদর্শক মুমিনুল জানান।
পাঁচবিবি থানার ওসি মনসুর রহমান বলেন, থানায় জহুরুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পুলিশ তাকে কেন ধরেছে তা তিনি জানেন না।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা বলেন, “জহুরুল ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী এবং সীমান্ত এলাকার ছেলে হলেও তিনি সৎ। আমরা এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাইনি।”
তিনি বলেন, আর যদি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকেও তাহলে তাকে এভাবে পুলিশ মারতে পারে না। জিঞ্জাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যেতে পারত।
তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ারও প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।