বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি রোববার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় চত্বরে এই অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে এলাকার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।
বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সদর উপজেলা সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ জামান রব্বানী, দারিয়াপুর অঞ্চল কমিটির সভাপতি গুল বদন সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালসহ গোটা জেলার চিকিৎসা সেবা অনিয়ম-দুর্নীতিতি নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এই হাসপাতালকে প্রায় ৩/৪ বছর আগে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়। অথচ সেখানে এখন ১০০ শয্যার হাসপাতালেরই চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবলের একাধিক পদ শূন্য।
শুধু তাই নয় এই হাসপাতালকে ঘিরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, ওই সিন্ডিকেটটি এই হাসপাতালের ওষুধসহ নানা রকম সামগ্রী ক্রয়, চিকিৎসা সেবা ও রোগীর পথ্যসহ বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত নিরীহ রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের হাতে অনেকে লাঞ্ছিতও হয়েছে বলে বক্তাদের অভিযোগ।
বক্তারা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জেলার বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা হলে জেলার সিভিল সার্জন এই অনিয়ম অব্যবস্থাপনার দায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের উপর চাপিয়ে দেন।
এজন্য বক্তারা সিভিল সার্জনের সমালোচনা করেন।
এসব অনিয়মের সমাধান না করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল এখন আর সিভিল সার্জনের অধীনে নয়। এটি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের অধীন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহফুজার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।