রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিলে ব্যবস্থা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ইন্ধনদাতা বেসরকারি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2019, 01:37 PM
Updated : 30 August 2019, 01:38 PM

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর দ্বিতীয় প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার পর ধারলো অস্ত্র বানানোর ঘটনায় মুক্তি কক্সবাজার নামের একটি এনজিওর ছয়টি প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। 

এই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “যেসব বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) শর্তের বাইরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের নানাভাবে ইন্ধন দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যে সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের সরবরাহের জন্য দেশীয় অস্ত্র তৈরি করেছে, তাদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মুহিবুল্লাহ যদি অন্যায় করেন, তবে শাস্তি দেওয়া হবে। এজন্য বিচার বিশ্লেষণ চলছে।”

তাছাড়া রোহিঙ্গাদের একজন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসায় আলোচনার জন্য সুবিধা হবে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুক্রবার বিকালে সিলেটে শোকের মাস অগাস্ট উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। দুই বছরে এই সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে।

তাদের আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে; সেখানে আগে আসা আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

গত ২২ অগাস্ট রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর দ্বিতীয় প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

ওই বৈঠকে তিনি মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয় সেজন্য আরও উদ্যোগী হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্বিতীয় বছর র্পূর্তিতে গত রোববার শরণার্থী শিবিরে বিশাল সমাবেশ করে মিয়ানমারের এই নাগরিকরা। রোহিঙ্গাদের ওই সমাবেশে তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা যায়।

ওই সময়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার এলাকায় একটি কামারের দোকান থেকে লোহার তৈরি ধারাল প্রায় সাড়ে ছয়শ’ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দেশি-বিদেশি নানা এনজিও কাজ করে আসছে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর নানা অভিযোগে এ পর্যন্ত ছয়টি এনজিওর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

এগুলো হলো ইসলামিক রিলিফ, ইসলামিক এইড, মুসলিম এইড, স্মল কাইন্ডনেস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি ও নমিজান আফতাবি ফাউন্ডেশন।

সর্বশেষ উখিয়ায় ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের পর ‘মুক্তি কক্সবজার’ নামের এনজিওর ছয়টি প্রকল্প সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সরকার।