জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজিব কুমার সরকার জানান, এই ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার জামালপুরে কাজ শুরু করেছে।
“আজ দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।”
তিনি বলেন, তদন্তের শুরুতে তারা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বিশ্রাম কক্ষ (খাস কামরা) পরিদর্শন করেন। এরপর সভাকক্ষে বসে কথা বলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ওই নারী অফিস সহায়কের সঙ্গে, যাকে সেই ভিডিওতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজিব কুমার আরও জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে ওই অফিস সহায়ক সভাকক্ষ থেকে বের হন। এরপর তিনি আগামী রোববার থেকে আবার পাঁচ দিনের ছুটির আবেদন করেন। এরপর কার্যলয় ত্যাগ করেন ওই নারী। এর আগে গত সোমবার তিনি তিন দিনের ছুটি নিয়েছিলেন, যা বুধবার শেষ হয়।
তবে তদন্ত দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
সম্প্রতি ফেইসবুকে ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড এবং ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়।
এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে আলোচনা চলছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে ওই ভিডিও জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের বিশ্রাম কক্ষের। পুরুষটি জেলা প্রশাসক নিজে এবং অন্যজন ওই অফিসেরই একজন সহকর্মী।
ওই ভিডিও ভাইরাল হলে তুমুল আলোচনার মধ্যে রোববার জামালপুরের জেলা প্রশাসকের পদ থেকে আহমেদ কবীরকে সরিয়ে ওএসডি করা হয়।
সেই সেঙ্গ অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, যাদের ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।