নোয়াখালীতে পানি শোধনাগার নির্মাণ শুরু

সুপেয় পানির ঘাটতি দূর করতে নোয়াখালী শহরে ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।

আবু নাসের মঞ্জু নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2019, 05:55 PM
Updated : 28 August 2019, 05:55 PM

বুধবার নোয়াখালী পৌরসভার পুরাতন হাউজিংয়ে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মেয়র সহিদ উল্যাহ খাঁন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) মাধ্যমে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

ডিপিএইচই জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাশ বলেন, ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া কথা রয়েছে। প্রকল্পের অধীন প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে লৌহ দূরীকরণ প্ল্যান্ট।

“শহরের পার্শ্ববর্তী নোয়ান্নই ইউনিয়নে ইতিমধ্যে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলণের প্ল্যান্টের কাজ শুরু করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, সেখান থেকে পানি উত্তোলন করে তা হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন লৌহ দূরীকরণ প্ল্যান্টে আসবে। এখান থেকে পানি বিশুদ্ধ হয়ে তিনটি উচ্চ পানি ধারণ হাউজের মাধ্যমে বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, এ লৌহ দূরীকরণ হাউজে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ ঘন মিটার পানি পরিশোধন হবে।

নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল বলেন, পৌর এলাকার বাসিন্দাদের প্রত্যেকের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করা তার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। তিনি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপেয় পানি সঙ্কট দূর করতে বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারস্ত হয়েছেন।

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালী পৌর এলাকার কোনো বাসিন্দা সুপেয় পানির অভাবে থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।

নোয়াখালী পৌর শহরে ২০০৫ সাল থেকে সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প শুরু করা হয়। শহরের কিছু এলাকার সুপেয় পানি শঙ্কট দূর হলেও অনেক এলাকায় ঘাটতি রয়ে গেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে পুরাতন হাউজিং এলাকার প্রায় দেড় হাজার পরিবার।