বুধবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ শাহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ওই ব্যক্তির পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
ওই নারীর নিহত স্বামীর নাম আবুল বাশার এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রথম স্বামীর নাম মো. খোকন।
খোকন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নজির মোল্লার ছেলে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি কামরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।
মামলার বরাত দিয়ে কামরুল বলেন, ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর নবপল্লী মসজিদ গলিতে একটি ভাড়া বাসায় এই হত্যাকাণ্ড হয়।
খোকন ২০১৫ সালে তার স্ত্রী জেসমিনকে তালাক দেন এবং একই বছর জেসমিন নবপল্লী এলাকার আবুল বাশারকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে আবুল বাশারের কাছে আবার স্ত্রীকে ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন খোকন। এতে রাজি না হওয়ায় খোকন ওই বছরের ৬ নভেম্বর ভোরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাশারকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এপিপি কামরুল বলেন, এ ঘটনায় জেসমিন বাদী হয়ে ৭ নভেম্বর তার প্রথম স্বামী খোকনের বিরুদ্ধে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মল্লিক মো. ইমাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর প্রত্যেকে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে এপিপি জানান।