জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার মান্দ্রা গ্রামে আজাহার শেখের বাড়িতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই সালিশ হয়।
ওই গ্রামের হাবিব মিয়াসহ কয়েকজন এই সালিশের আয়োজন করেন।
হাবিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলাকার শান্তির জন্য তাদের জুতাপেটা করা হয়েছে। তবে ওই দুই তরুণের অভিভাবকরাই তাদের জুতাপেটা করেছেন।”
তরুণদের একজনের বয়স ১৮ বছর। আরেকজনের বয়স ১৯ বছর।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মান্দ্রা ইউনাইটেট ইনস্টিটিউশনের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী সোমবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে একা বাড়ি ফেরার সময় তারা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যান।
ছাত্রীর বাবা বলেন, “এলাকার মুরব্বিদের অনুরোধে সালিশ বৈঠকের মাধ্যেমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। দুইজনকে জুতাপেটা করা ছাড়াও সাদা কাগজে একটি মীমাংসাপত্র লেখা হয়েছে।”
তবে ‘মীমাংসাপত্রে’ কী লেখা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। সেটা সালিশের মাতব্বর হামিম শেখের কাছে রয়েছে বলে তিনি জানান।
সালিশ বৈঠকে হামিম শেখ, সালাম দাড়িয়া, ইলিয়াছ শেখ, মামুন শেখ, হাসান মিয়া নামে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছিলেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রীর বাবা।
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া বলেন, “এ ধরনের অপরাধ সালিশ বৈঠকের মাধ্যেমে মীমাংসা করার আইন নেই। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”