ডেঙ্গু: খুলনা ও ময়মনসিংহে আরও দুই জনের মৃত্যু

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর এসেছে খুলনা ও ময়মনসিংহ থেকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2019, 05:21 AM
Updated : 28 August 2019, 10:56 AM

এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শাহিদা বেগম (৫০) নামে এক নারী বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আর ময়মনসিংহে মারা গেছেন হাফিজুল ইসলাম (৩৪) নামে একজন, যিনি ময়মনসিংহে মেডিকেলে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৮৬ জনের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

তবে ‘ডেথ রিভিউ’ প্রক্রিয়া শেষে এ পর্যন্ত মোট ৫২ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

খুলনা

পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডরিয়া উপজেলার পশারীবুনিয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৫০) বেশ কিছুদিন ধরে ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছিলেন। আগে থেকেই ডায়াবেটিস ও লিভারের সমস্যা ছিল তার।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ডেঙ্গু ধরা পরার পর বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শাহিদা। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাত পৌঁনে ৮টার দিকে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে শাহিদার মৃত্যু হয় বলে জানান ড. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, এ নিয়ে খুলনা মেডিকেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই নারীসহ ছয় জনের মৃত্যু হল।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলামের (৩৪) ডেঙ্গু ধরা পড়ে মাস দেড়েক আগে।

তার বাবা  ইউনুস জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে কয়েকদিন চিকিৎসা দেওয়ার পর হাফিজুলের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। ওই অবস্থায় কোরবানির ঈদের আগে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা হাফিজুলকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে ভোর পৌনে ৪টার দিকে ভালুকায় হাফিজুলের মৃত্যু হয় বলে জানান তার বাবা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাফিজুল ইসলাম ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।”

এবার যেহেতু তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি, সেহেতু ঠিক কী কারণে হাফিজুলের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি উপ-পরিচালক।

তবে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো অন্যবছরের চেয়ে আলাদা হওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও বিভ্রান্ত হতে হয়েছে।  

এর আগেও হাসপাতালে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কয়েক দিন পর আবার রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ার এবং তাতে মৃত্যুর খবর এসেছে গণমাধ্যমে।