নুসরাত হত্যা: আদালতে অডিও-ভিডিও উপস্থাপন

ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় তিনি তথ্য হিসেবে আদালতে অডিও-ভিডিও উপস্থাপন করেন।   

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2019, 05:29 PM
Updated : 27 August 2019, 05:29 PM

মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে টানা চার কর্মদিবসের শেষদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

এ সময় তিনি নুসরাতের দগ্ধ অবস্থায় বক্তব্যের অডিও, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মৃত্যুকালীন বক্তব্যের ভিডিও এবং আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহল আমিনের সঙ্গে আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও জীবন নামের এক ব্যক্তির কথোপকথনের অডিও আদালতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

পরে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শুরু হলে আদালত মুলতবি ঘোষণা করে জেরার জন্য বুধবার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করে।

বাদীর আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, “দেশে প্রথমবারের মতো মামলার কোনো ডকুমেন্ট প্রজেক্টরের মাধ্যমে আদালতে উপস্থান করা হয়েছে; যা উপস্থিত সকল আইনজীবী, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক শুনতে পেরেছেন।”

তিনি বলেন, প্রদর্শিত অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে আসামিদের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও নুসরাতের জবানবন্দি সকলের সামনে উম্মোচিত হয়, যা এ মামলার মূল দলিল হিসেবে নথিতে রয়েছে।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহাম্মদ বলেন, গত ২৭ জুন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর টানা ৩৭ কর্মদিবসে নুসরাত হত্যা মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে বাদীসহ ৮৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। প্রত্যেক সাক্ষীকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেছেন।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের মামলায় মাদ্রাসার সেই সময়ের অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর জের ধরে গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১২ জন আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৬ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।