এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক আর স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে এক দিন ওই স্কুলে ক্লাস বন্ধ থাকে। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবাদুল হক ক্ষমা চাওয়ার পর মঙ্গলবার আবার ক্লাস শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোববার সকালে সভাপতি এবাদুল হক স্কুলে এসে সেলুন থেকে কাঁচি আনান। তারপর তিনি নিজেই বিভিন্ন ক্লাসে ঢুকে ঢুকে ছাত্রদের মাথার চুল এলোমেলো করে কেটে দেন। এতে অনেক ছাত্র বাড়ি চলে যায়। পরদিন সোমবার তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ দেখায়।
এছাড়া অনেক অভিভাকও স্কুলে এসে সভাপতির বিচার চান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও স্কুলে আসেন।
জিওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম বলেন, “অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে সভাপতি ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।”
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আফসার আলী বলেন, “এক সপ্তাহ আগে সভাপতি এবাদুল বখাটে চুল ও বড় চুল কেটে ফেলতে ছাত্রদের নোটিস দেন। যেসব ছাত্র চুল কাটেনি, রোববার সভাপতি ক্লাসে গিয়ে তাদের চুল কেটে দেন।
“এ নিয়ে কয়েকজন ছাত্র বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। আমরা ছাত্রদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। তাছাড়া খবর পেয়ে শিক্ষা অফিস থেকে একজন প্রতিনিধি এসে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন।”
এ বিষয়ে সভাপতি এবাদুল হক বলেন, “স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে যারা স্টাইল করে চুল কেটেছে, তাদের শনিবারের মধ্যে চুল কাটতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। যেসব ছাত্র সেই নির্দেশনা অমান্য করেছে, আমরা তাদের চুল সামান্য করে কেটে দিয়েছি, যাতে তারা স্বাভাবিকভাবে চুল কাটে।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, চুল কাটা খবর পাওয়ার পর সোমবার অফিস থেকে একজন প্রতিনিধিকে ওই স্কুলে পাঠিয়েছিলেন তিনি।
“তার মাধ্যমে জেনেছি, স্কুল কমিটি নোটিসের মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রদের স্টাইল করা ও বড় চুল কাটার নির্দেশনা দেয়। শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যারা নির্দেশনা মানেনি তাদের চুল কেটে দিয়েছেন সভাপতি।”
তবে চুল কাটার ব্যাপারে শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল না বলে জানান তিনি।