ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন শহরের জলেশ্বরীতলার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ (২০) ও জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহারিয়ার অন্তু (২১)।
আবির বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং শাহরিয়ার অন্তু একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) গত ১৮ জুন রাতে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এর আগে এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর বাবা ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা করেন।
তার ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বগুড়া সিআইডিকে অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
সোমবার মামলা দায়েরের পর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নরেশ মুখার্জ্জী জানান, ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম ফজলুল হক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৮ জুন রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে এবং তার ১৪ মিনিট পর আবির নামের ছেলেটির কাছ থেকে দুই দফা ফোন পান মেয়েটির বাবা। এরপর তিনি মেয়েকে ছেলেটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন এবং মেয়েটি ওই ছেলের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মেয়েটি তার বাবাকে আরও জানান, আবিরের মোবাইল ফোনে তার নগ্ন ছবি রয়েছে। ওই ছবিগুলো আবির ও তার পরিচিত অন্তু ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই মেয়েটি আত্মহত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।