রোববার রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে শাহনাজ (৪) ও মেহনাজ (আড়াই বছর) নামের ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
এরা সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের ঠাকুরডাঙ্গী গ্রামের মোশাররফ খালাসীর মেয়ে।
মোশারফ খালাসীর স্ত্রী ও ছেলে ফাহিমকে (৮) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার মো. শাহজাহান বলেন, মোশাররফ খালাসীর বাড়িটি দোতলা। তিনি রাখি মালের ব্যবসা করেন। নিচ তলায় একটি কক্ষে খাদ্য সামগ্রী মজুদ রাখেন।
“রোববার বিকালে ওই ঘরে মজুত মালামালে কীটনাশক স্প্রে করেন।”
মোশারফ খালাসীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। এক পর্যায়ে মোশাররফ বাদে তার স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতেই তাদের ফরিপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
“ঢাকা নেওয়ার পথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় মেহেনাজ এবং মানিকগঞ্জ এলাকায় শাহনাজের মৃত্যু হয়।”
সদরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূবরী গোলদার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনোভাবে খাদ্য সামগ্রীতে বিষক্রিয়া হয়ে ওই দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর ফারুখ বলেন, সোমবার বাদ জোহর বাবুরচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ওই দুই শিশুকে দাফন করা হয়েছে।