সোমবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান।
নিহত মোহাম্মদ হাসান (২৮) টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ হামিদুল্লাহর ছেলে।তিনি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু এলাকার বাসিন্দা।
এ নিয়ে ওমর ফারুক হত্যার তিন আসামি নিহত হলো। এর আগে শনিবার এ মামলার আসামি দুই রোহিঙ্গা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।
ওসি প্রদীপ বলেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরে পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়।সেখানে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে।
“এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতলে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। "
গত ২৩ অগাস্ট রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ফারুক হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এছাড়া তিনি জাদিমুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
ওসি বলেন, “নিহত মোহাম্মদ সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দলের সদস্য। সে টেকনাফের জাদিমুরা এলাকায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি”।
এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় বন্দুক ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।