হামলায় আহত টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের কর্মী রুবিয়া আক্তার রুবি রোববার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুবি বলেন, গত ১৫ অগাস্ট টঙ্গীতে তার বাড়ির পাশে অফিসে শোক দিবসের আয়োজন চলছিল। এ সময় স্থানীয় ফারুক সরকার (৪৬), মো. হান্নান মোল্লা (৪৭) ও মকবুল কাজী (৪০) ও তাপসসহ (৩৫) অজ্ঞাত ১০/১২ জন লোক দা-রড নিয়ে তার উপর হামলা করে। তাকে বাঁচাতে মা ও ভাই এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে খুন জখমের হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়।
হামলায় রুবির মাথা, ডান চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম হয় এবং বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
এ ঘটনায় রুবির মা রোজিয়া বেগম বাদী পরদিন টঙ্গী (পূর্ব) থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রোজিয়া বেগমও উপস্থিত ছিলেন।
রুবি বলেন, “ওই মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা আমাদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আমাদের স্বপরিবারে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে।”
এ অবস্থায় ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ মধ্যে রয়েছেন উল্লেখ করে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন রুবি।
এ বিষিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, মামলার পর ফারুক ও হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।