কচুয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বেলফার হোসেন জানান, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুল মান্নান মীরের (৮৪) বাড়ি কচুয়া উপজেলার সদরে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বেলফার বলেন, বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে আব্দুল মান্নান হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। শনিবার রাতে তিনি তার বেডে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ ছাদের পলেস্তারার কিছু অংশ ভেঙে পড়ে।
তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানান বেলফার।
হাসপাতালের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, হাসপাতালের এই পুরানো ভবনটির পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডের দীর্ঘদিন ধরেই জীর্ণ অবস্থা। বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানের পর দুই বছর আগে দ্বিতীয় তলার ছাদের উপর একটি জলছাদ করে সংস্কার করা হয়। কিন্তু তারপর আর কোনো কাজ হয়নি।
হাসপাতালটির ৫০ শয্যার নতুন ভবনে বহির্বিভাগ, ল্যাব ও অপারেশন থিয়েটার রাখা হলেও পুরান ভবনে রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, “বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে চিকিৎসকেরা ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এখানে রোগীদের ভর্তি করতে হচ্ছে।”
ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই হাসপাতালে মাঝে মাঝেই এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন জিকেএম শামসুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনটি ঝঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন।