শনিবার কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি একথা বলেন।
“রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে ও নিরাপদে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য আমেরিকা ও জাতিসংঘের অন্যান্য রাষ্ট্র মিলে যা যা করা দরকার তা সবই করা হবে।
“বাংলাদেশ যে উদারতায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে সেটা প্রশংসার দাবিদার। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের পাশে আছে, সবসময় থাকবে।”
মিলার আরও বলেন, বন্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার জনগণ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য এক লাখ ডলার প্রদান করবে। এতে এক হাজার দুশ পরিবারের চার হাজার নয়শ মানুষ সহায়তা পাবে।
শনিবার রাষ্ট্রদূত মিলার এই সহায়তা কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।
চিলমারীর নটারকান্দি হাইস্কুল মাঠে ত্রাণ বিতরণের আগে চরাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে ঘুরে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন মিলার।
তিনি এই চরাঞ্চলের শতাধিক পরিবারকে নগদ অর্থ, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়া, ১০টি প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে নগদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ও রমনা ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নে।
রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার সি-প্লেনে কুড়িগ্রাম চিলমারী বন্দরে ব্রহ্মপূত্র নদে অবতরণ করেন সকাল সাড়ে ৯টায়। এরপর তিনি স্পিডবোট যোগে নটারকান্দি চরে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আবার সি-প্লেনে ঢাকার উদ্যোশে রওয়ানা দেন।