শুক্রবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের যোগানিয়া কাচারি মসজিদ এলাকায় তিনি আক্কাছ আলীর বাড়ি পৌঁছেন।
আক্কাছ আলী মাশরাফির গৃহকর্মী টুনির বাবা। এক সময় আক্কাছ আলী মাশরাফিদের ঢাকার মিরপুরের বাসার নিরাপত্তকর্মী ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন বাড়ি চলে এসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে মাশরাফি পরিবার টুনিকেসহ তাদের গ্রামের বাড়ি পৌঁছার পর খবরটি অল্প সময়ের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
যোগানিয়ার এই অজপাড়াগাঁয়ে মাশরাফিকে দেখতে ছুটে যাওয়া অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুকছেদুর রহমান লেবুও। তিনি মাশরফির সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাকে এলাকায় স্বাগত জানান।
মুকছেদুর রহমান বলেন, “গৃহকর্মী এবং সাবেক নিরাপত্তাকর্মীর পরিবারে বেড়াতে এমন অজপাড়াগাঁয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ এসে তিনি সবাইকে অবাক করেছেন। এমন দরদী একজন মানুষ খুব কমই আছে আমাদের সমাজে।”
এলাকাবাসী জানায়, এবারের কোরবানির ঈদ মাশরাফির বাড়িতে কাটলেও পরে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসার ইচ্ছে ছিল টুনির। সেই ইচ্ছা পূরণে কেবল টুনিকে না পাঠিয়ে নিজে পরিবারসহ চলে এসেছেন টুনির গ্রামের বাড়ি।
শুক্রবার সকালে ঢাকার মিরপুরের বাসা থেকে রওয়ানা দেন তারা শেরপুরের উদ্দেশে। জুমার নামাজ আদায় করেছেন পথে।
স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আমিন সিফাত জানান, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় একটি হাউজিং অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করার সময় মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে পরিচয় হয় আক্কাছ আলীর। ওই অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মাশরাফি ও তার পরিবার।
স্থানীয়রা আরও জানান, মাশরাফির আগমনের বিষয়টি টুনির বাবা-মা জানলেও তারা কাউকেই কিছু জানাননি। কিন্তু যোগানিয়া কাচারি মসজিদ সংলগ্ন টুনিদের বাড়িতে পৌঁছানোর পর মাশরাফি ঘুরে-ফিরে চারপাশ এক পলক দেখে কুশলাদি বিনিময়ের পর দুপুরের খাবার খান।
এ সময় এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করতে থাকে। তারা মাশরাফির সঙ্গে সেলফি তুলতে ও তার অটোগ্রাফ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর বিদায় নেন নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মুর্তজা।