বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ পৌরপানি শোধনাগারের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার জ্বলে যায়। সেই সঙ্গে সঞ্চালন লাইনের তারও পুড়ে যায়।
এ পানি দিয়েই পৌরবাসী প্রয়োজনীয় সব কাজ করেন; ফলে দুই দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ পৌরসভায় বসবাসকারী প্রায় দুই লাখ মানুষ।
শানিনূর বলেন, “পৌর কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝেই চাহিদার তুলনায় কম পানি সরবরাহ করে। গত ৫/৬ দিন ধরে পানি ঠিকমত পাচ্ছিলাম না। এখন দুইদিন ধরে পানি সরবরাহ একেবারে বন্ধ। পানি ছাড়া জীবন চলেনা, তাই দূর থেকে পানি আনছি।”
শাহিনূরের মতো শহরের স্বর্ণকার পট্টির গৃহবধূ জবা ঘোষ (৩৫) বেদগ্রামের গৃহবধূ পঙ্খী বেগম (৫৫) গোহাটা এলাকার সমীর রায়সহ (৪০) শহরের শত শত মানুষ এ টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করেছেন।
তারা জানালেন, খাবার পানি কোন রকমে সংগ্রহ করতে পারলেও গোসল, রান্না, কাপড়, থালাবাসন ধোয়া, গৃহস্থালীসহ অন্যান্য কাজের পানি যোগাড় করতে পারেননি। এ কারণে তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
পানি নিয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে জানিয়ে শহরের নতুন বাজার রোডের বাসিন্দা এলাহি খান বলেন, পানি সংগ্রহ করতে তাকে শহরের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে।
পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. নাজমুল হাসান নাজিম বলেন, পানি শোধনাগারের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে। তাই শুক্রবার ও বৃহস্পতি বার আমরা পৌরসভার মানুষকে পানি দিতে পারিনি।
ইতোমধ্যে ট্রান্সফরমার ঠিক করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পানি সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।