আহত বাকিরা হলেন শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক তন্ময় বণিক ও সহ-সম্পাদক রাসেল শেখ।
শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে জিকুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনার বর্ণনায় জিকু বলেন, শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় রাকিব, তন্ময় ও রাসেলের সঙ্গে তিনি চা খাচ্ছিলেন। হকিস্টিক ও লাঠিসোঠা নিয়ে ৪০/৫০ জন এ সময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বাজারের লোকজন ছুটোছুটি করতে থাকে।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল আলম রবিন সাংবাদিকদের বলেন, আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘সন্ত্রাসীদের বাঁধার মুখে’ পড়েন তারা। পরে তাদের স্থানীয় আলহেরা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী ওয়াসিম ও জিকুর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসিম বলেন, রেললাইন এলাকায় তার দলের ছেলে সিয়ামের একটি মোবাইল ফোন রাব্বি ছিনিয়ে নেয়। এর জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন।
তবে এ ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
এ দিকে এ হামলার ঘটনার প্রতিবাদে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল আলম রবিনের নেতৃত্বে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় রাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি একরামুল হক রনি, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রনি, সাধারণ সম্পাদক রিমনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।