কুড়িগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ

কুড়িগ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন স্বজনরা।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2019, 01:15 PM
Updated : 22 August 2019, 01:15 PM

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, বুধবার ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়।  

‘ধর্ষণের আলামত থাকার’ পরও হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করায় বৃহস্পতিবার সকালে ভূরুঙ্গামারী থানায় এলাকার অন্তত ৫শ এলাকাবাসী অবস্থান নেয়।

নিহত মেয়েটি (১৩) উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাইশমারী ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহত মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, তার মেয়ে মামীর সঙ্গে পাঁচদিন আগে ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে মামার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়।

তিনি বলেন, বুধবার দুপুরে সে মোবাইলে তার বাবাকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। এর ঘণ্টাখানেক পর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফোন আসে তার মেয়ে অসুস্থ। খবর পেয়ে তিনি নিজে, তার স্ত্রী ও শ্যালক বাড়ি থেকে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন তাদের মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

“কিন্তু আত্মহত্যা কী কারণে করেছে তা কেউ বলতে পারছিল না। পরে কিশোরীটিকে তার মা-চাচিরা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখতে পান তার গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেখানে কাপড় দিয়ে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছে।”

ওসি ইমতিয়াজ জানান, আত্মহত্যা সম্পর্কে কিছুটা অসংগতি লক্ষ্য করা গেছে। এ ব্যাপারে ইউডি মামলা করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই এই অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে। এখানে অন্য কোনো ভাবনার অবকাশ নেই। এছাড়া এ ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা উৎঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাতে কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করতে গেলে অপমৃত্যু মামলা নেয় পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা থানায় আসেন হত্যা মামলা রেকর্ড করার দাবিতে।

মেয়েটির মামা বলেন, “মেয়েটির আত্মহত্যার প্রশ্নই আসে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”