জেলা শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় মেঘনা নদীর পাশে একটি পুকুর থেকে সোমবার দুপুরে সবুজ নামের এক যুবক সাপটি ধরে।
পরে সাপটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সবুজ বলেন, “বাড়ির পাশে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করার সময় পুকুরের পাশে বিরল প্রজাতির এই সাপটি দেখতে পেয়ে কৌশলে ধরে আনি। পরে বন্ধুরা সাপটি মেরে ফেলতে চাইলে অপু পাটোয়ারী নামে এক ভাইয়ের হস্তক্ষেপে সেটিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।”
অপু বলেন, গত এক মাস আগে এলাকার ছেলেরা একটি সাপ মেরে মোবাইলে ছবি তুলে দেখায়। সাপটি আমার কাছে ব্যাতিক্রম মনে হয়ছিল। পরে তাদেরকে এ রকম সাপ দেখতে পেলে না মারার অনুরোধ করি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহকারী গবেষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, দুর্লভ সাপ ‘রাসেল ভাইপার’ দেশের রাজশাহী, নাটর, নওগাঁ, দিনাজপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর জেলায় এই ধরনের সাপ দেখতে পাওয়া গেলেও চাঁদপুরে এটি দেখা যাওয়ার কথা নয়।
বন্যার পানির সঙ্গে সাপটি ভেসে এসেছে বলে ধারণা মিজানুরের।
তিনি বলেন, রাসেল ভাইপারের কামড়ে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম এক সাঁওতাল নারীর মৃত্যু হয়, এরপর ২০১৩ সালে রাজশাহীতে ১৮ বছর বয়সী একটি ছেলে এ সাপের কামড়ে মারা যায়।
বাংলাদেশে সাপের দংশনে যত মানুষ মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে মধ্যে অধিকাংশই রাসেল ভাইপারের কামড়ে মারা যান বলে জানান মিজানুর।
চাঁদপুর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, “সাপটি অনেক বিষধর। এটি গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রিসার্চ সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়েছে, যাতে তারা এ সাপ থেকেই কাটা রোগীদের জন্য প্রতিষেধক তৈরি করতে পারে।”
সাপটি না মেরে রক্ষা করার জন্য তিনি স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি এই ধরনের বিষধর সাপ দেখতে পেলে বিশেষজ্ঞদের জানাতে এবং সাধারণ মানুষকে সাপের কাছে না যাওয়ার নোর পরামর্শ দেন তিনি।