শেরপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দম্পতি গ্রেপ্তার

শেরপুর শহরে একটি বাড়িতে মাদ্রাসার এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে তাদের প্রতিবেশী এক দম্পতিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2019, 04:33 PM
Updated : 20 August 2019, 04:33 PM

গৃদানারায়ণপুরের রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও মামলা হয়েছে সোমবার রাতে।

শিশুটির স্বজনের অভিযোগ, শেরপুর শহরের নারায়ণপুরের ভুপেন মোহন পোদ্দারের ছেলে পলাশ পোদ্দার এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তাকে সহায়তা করেছেন মেয়েটির প্রতিবেশী দম্পতি সোহানুর রহমান ও তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোমবার রাতে ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে পলাশ পোদ্দার, সোহানুর রহমান ও মৌসুমী আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে শেরপুর সদর থানার এসআই আনসার আলী বলেন, গৃদানারায়ণপুরের একটি ভাড়া বাড়ির তৃতীয় তলায় ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে নিয়ে তার বিধবা মা ভাড়া থাকেন। একই বাড়ির দোতলায় ব্যবসায়ী সোহানুর রহামান তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ভাড়া থাকেন।

সোহানুর রহমানের ব্যবসায়ী অংশীদার পলাশ পোদ্দার নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতেন।

এসআই আনসার বলেন, রোববার সকালে পলাশ পোদ্দার ওই বাসায় সোহানুর রহমানের কাছে আসেন। ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা মেয়েকে বাসায় রেখে কাজের জন্য বাইরে চলে যান। এই সুযোগে পলাশ তার ব্যবসায়িক পার্টনার দম্পতির সহযোগিতায় তৃতীয় তলায় গিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে চলে যান।

“পরে ওই ছাত্রীর মা বাসায় ফিরে মেয়ের কাছে ঘটনা শোনেন এবং পরদিন সোমবার পলাশ পুনরায় পার্টনারের বাসায় গেলে মেয়েটি ও তার মা হইচই শুরু করলে পলাশ পোদ্দার পালিয়ে যান।”

এসআই আনসার বলেন, খবর পেয়ে সোমবার বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং ওই ছাত্রী ও তার মাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষণের বিষয়টি জেনে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায়।

“সোমবার রাতে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে পলাশ পোদ্দার এবং ব্যবসায়ী সোহানুর রহমান ও তার স্ত্রী  মৌসুমী আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা। ওই রাতেই মৌসুমী আক্তারকে এবং মঙ্গলবার বিকালে সোহানুর রহমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।”

আনসার বলেন, মঙ্গলবার আদালতে ওই ছাত্রীর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারার বিধান মতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পলাশ পোদ্দারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও এসআই আনসার আলী জানান।