বাগেরহাটে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সুপারের বিরুদ্ধে

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2019, 12:14 PM
Updated : 20 August 2019, 12:14 PM

ঘটনার ১১দিন পর গত সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউনে না জানাতে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার একমাত্র আসামি উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (সতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার ইলিয়াছ জমাদ্দার (৪৮)। তিনি শরণখোলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুল গফফার জোমাদ্দারের ছেলে। মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে শরণখোলা থানার ওসি দিলীপ কুমার সরকার বলেন, গত ৮ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (স্বতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইলিয়াছের কাছে পড়তে যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী।

“এ সময় ওই শিক্ষক তাকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ডেকে নেন এবং আটকে ধর্ষণ করেন। এরপর বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়।”

অভিযোগে বলা হয়, মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ওই শিক্ষক। পরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করায় পরিবার।

আরও অভিযোগ করা হয়, ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক স্বজনদের ধর্ষণের ইঙ্গিত দিলে শিশুটি সঙ্গে কথা বলে তার পরিবারের সদস্যরা পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তার বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

শিশুটির মা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, “রক্তাক্ত অবস্থায় দুজন ছাত্রীতে আমার মাইয়েরে (মেয়ে) সেদিন হাতে হাতে বাড়িতে নিয়ে আইছে। পরে মেয়ে আমারে বলছে ইলিয়াছ তাকে কী করছে। আর যেন কোনো মাইয়ার এই অবস্থা না হয়। আমি এর বিচার চাই।”

ওসি দিলীপ কুমার বলেন, ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।