রোববার রাতে সৈয়দপুরে রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোহাম্মদ শামীম (৪৫) নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী জানান।
গ্রেপ্তার শামীম টিকিট কালোবাজারি বলে পুলিশ স্বীকার করলেও তিনি কীভাবে এ টিকিট সংগ্রহ করেছেন তা পুলিশ কিংবা স্টেশন মাস্টার বলতে পারছেন না।
গত ১২ অগাস্ট থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ইতিমধ্যে ঢাকাগামী সব ট্রেনের টিকিট শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত ঢাকাগামী কোনো ট্রেনের টিকিট নেই। এই সময়েই স্টেশনের এক কুলির কাছে ২৪টি টিকিট পাওয়া গেল।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, “গ্রেপ্তার শামীম স্টেশনে কুলির কাজ করলেও দীর্ঘদিন ধরে সে ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।”
তিনি বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে সৈয়দপুর স্টেশন চত্বরে আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের টিকিট উচ্চ মূল্যে কালোবাজারে বিক্রি করাকালে তাকে আটক করা হয়।
“এ সময় তার কাছ থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর ট্রেনের ২১ অগাস্টের এসি চেয়ারের ৯টি ও শোভন শ্রেণির ১৫টি টিকিট, দুইটি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া যায়।”
ওসি বলেন, রাতেই তার বিরুদ্ধে সৈয়দপুর জিআরপি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
শামীম কীভাবে এত টিকিট সংগ্রহ করেছেন প্রশ্ন করা হলে ওসি এমদাদুল বলেন, “বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এ বিষয়ে পরে জানা যাবে।”
স্টেশন মাস্টার শওকত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১২ অগাস্ট আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত কোনো ট্রেনের টিকিট নেই।
কীভাবে এই ব্যক্তি এতগুলো টিকিট সংগ্রহ করেছেন তা তার জানা নেই। তবে কয়েকজন মিলে অনেকগুলো টিকিট সংগ্রহ করতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এ ঘটনায় স্টেশনের কেউ জড়িত নয় বলেও তিনি দাবি করছেন।
শামীমম সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা অবাঙালি ক্যাম্পের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে। তিনি সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে কুলির কাজ করেন।