রোববার রাতে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া শেখেরদীঘি গ্রামের বাড়ি থেকে স্থানীয়রা ইউনুস আলীকে (৪৫) ধরে পুলিশে দিয়েছে।
সোমবার আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে আদিতমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পরিদর্শক সাইফুল বলেন, কাঠমিস্ত্রী ইউনুস আলীর দুই স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেন এক ছেলেসহ। ৫/৬ মাস আগে ওই সৎ ছেলের বিয়ে দেন ইউনুস আলী। সৎ ছেলে কাজের সন্ধানে ঢাকায় অবস্থান করায় পুত্রবধূ ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন ইউনুস।
“রোববার রাতে পুত্রবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। পুত্রবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ইউনুসকে ধরে পুলিশে দেয়।”
পরিদর্শক সাইফুল জানান, এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ওই নারী বাদী হয়ে শ্বশুর ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ওই নারীকে ডাত্তারি পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সাইফুল জানান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পর থেকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে তার শ্বশুর। প্রতিবাদ করলে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিতেন। রোববার রাতে তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।