অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এম জি আযম সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন ও একই গ্রামের হুজুর আলীর ছেলে শুকুর আলী।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি বিচারক প্রত্যেক আসামিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক জানান, ১৯৯৯ সালের ৩১ মে মহেশপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের মেয়ে মনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে উজ্জ্বলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মনোয়ারাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। তাছাড়াও তার গর্ভের সন্তানও নষ্ট করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় মনোয়ারা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেন।
২০০১ সালের ২৯ জুন উজ্জ্বল মনোয়ারাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বলাতলা খাল থেকে মনোয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পাঁচদিন পর মনোয়ারার বাবা বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র দিলে এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত।
এ মামলার আসামি আব্দুর রাজ্জাক বিচার চলাকালীন মারা যান।আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজিজুল হক ও মেঘা মণ্ডল নামে দু্ইজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত।