শনিবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্রাবণের মৃত্যু হয়।
মৃত শ্রাবণ (৭) উপজেলার পূর্ব রাজুরগাঁও গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।
আহতদের নাম জানা যায়নি।
শ্রাবণের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, তার দুই ছেলে শনিবার একই উপজেলার ফরাজিরহাট এলাকায় মায়ের সঙ্গে নানার বাড়ি বেড়াতে যায়। বিকালে নানার সঙ্গে নৌকায় ঘুরতে যায় তারা।
“এক পর্যায়ে একটি ভিমরুলের বাসার কাছে গেলে তাদের সবাইকে হুর ফুটিয়ে গুরুতর আহত করে ভিমরুল।”
সন্ধ্যায় তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক ঘণ্টা পর সেখানে শ্রাবণের মৃত্যু হয় বলে জানান বেলাল।
হাসপাতালে তাদের চিকিৎসায় অবহেলার কারণে শ্রাবণের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ বেলালের।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, “শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভিমরুলের অনেকগুলো কামডের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ভর্তির পরপরই তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলেও রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
চিকিৎসায় অবহেলা নয়, বরং আঘাত গুরুতর হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে, বলেন তিনি।