যারা আগাম টিকেট করেছিলেন তারা ফিরতে পারলেও বাকিরা বিভিন্ন কাউন্টারগুলোতে টিকেটর অপেক্ষায় রয়েছেন। এসি বাস তো দূরের কথা টিকেট নেই নন এসি বাসেরও।
রোববার অনেকে ঢাকা-চট্টগ্রামের পথে সরাসারি বাস না পেয়ে লোকাল বাসে করে যশোর গিয়ে গন্তব্যের পথ ধরছেন; আবার অনেক কষ্টে সাধ্যে যাদের ভাগ্যে টিকেট মিলেছে তাদের ফিরতে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এমন ভোগান্তির মধ্যে অনেক যাত্রী আবার ‘বাড়তি ভাড়া’ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন; আর পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক এম আর রহমান বলেন, “আমাদের টিকেট সব অনলাইনে বিক্রি হয়। রোববারের কয়েকটি টিকিট ছিল তাও শেষ হবার পথে। আগামি ২০ অগাস্ট পর্যন্ত টিকিট ক্রাইসিস থাকবে।”
সুমন বলেন, "আজ আর ঢাকায় ফেরা হলো না। কোথাও টিকিট পাইনি তাই সোমবারের টিকিট নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।"
বেনাপোল রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সহিদুজ্জামান বলেন, বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী 'বেনাপোল এক্সপ্রেসের' ২২অগাস্ট পর্যন্ত সকল টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। যেহেতু অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয় তাই আমাদের কিছুই করার নেই।”
বেনাপোল চেকপোস্টের এয়ার টিকেট এজেন্ট 'টাইম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের' প্রতিনিধি আবুল হাসান বলেন, সড়কপথে বেহাল অবস্থার কারণে আকাশ পথে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এবার ঈদে এয়ারলাইন্স গুলো ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়িয়েছে। এরপরেও ঈদের পরের দিন থেকে অধিকংশ প্লেনের টিকেট নেই।
তবে আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে অনলাইনেও বাসের টিকিটের দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। শার্শার ফজলুর রহমান বলেন, “ঢাকাগামী এসি বাসের ১৩০০ টাকার টিকেট ১৬৫০ এবং ৫০০ টাকার নন এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোলের সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, “এখন টিকিটের পুরো মূল্যই রাখা হচ্ছে আগে কিছুটা কমিয়ে রাখা হতো। এছাড়া বেনাপোল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ থাকলেও ঢাকা থেকে বাসগুলো খালি আসছে। তাই টিকিটের পুরো মূল্য নেওয়া হচ্ছে।“